সেনাবাহিনীর পণ্য
আস্সালামুআলাইকুম,
»কেন কিনবেন সেনাবাহিনীর পণ্য?
প্রথমত, যদি সেনাবাহিনীর পণ্য আপনার এলাকায় পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই তা কিনবেন ।
http://destyy.com/wfC2Yy
সেনামিষ্টান্ন দ্বারা সংগৃহীত
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রস্তুতকৃত খাদ্য পণ্যের তালিকা
» মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পণ্য:
» বেকারি ও ফাস্ট ফুড জাতীয় খাদ্য পণ্য:
»দুপুরের ও রাতের খাবার:
স্পেশাল চিকেন বিরিয়ানি
বিরিয়ানি উপাদান: চিনিগুঁড়া চাল, মুরগির মাংস, লেবু, গাজর, শশা, কাঁচা মরিচ । ওয়ান টাইম প্যাকেটে সরবরাহ করা হবে ।
»সেনাবাহিনীর নিজস্ব মিলে উৎপাদিত: আঁটা, ময়দা, সুজি ।
»আমার কিছু কথা:
ধন্যবাদ ।
আনন্দের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে “সেনামিষ্টান্ন” দ্বারা সংগৃহিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পণ্য চট্টগ্রাম সিটির পাশাপাশি এখন রাঙ্গুনিয়াতে ও পাওয়া যাচ্ছে। সেনামিষ্টান্ন হল সেনাবাহিনীর খাদ্য পণ্য সংগ্রহকারী বিক্রয় কেন্দ্র । সেনামিষ্টান্ন বিক্রয় কেন্দ্রটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা প্রস্তুতকৃত বিশুদ্ধ ও মানসম্মত খাদ্য পণ্য সংগ্রহ করা এবং সাধারণ মানুষের নিকট সরবরাহ করা । সেনামিষ্টান্ন ভেজালের ভিড়ে বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা প্রদান করে । সেনামিষ্টান্ন হল সেনাবাহিনী দ্বারা প্রস্তুতকৃত মিষ্টি জাতীয় পণ্য, বেকারি পণ্য, ফাস্ট ফুড, দুপুর অথবা রাতের খাবার, আঁটা, ময়দা, সুজি এসবের বিশাল সম্ভার । সেনাবাহিনীর খাদ্য পণ্য গুলো সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয় বিধায় সেনানিবাসের বাহিরে এসব সহজলভ্য নয় । আমরা অনেকেই সেনাবাহিনীর তৈরী খাদ্য পণ্য সম্পর্কে জানি কিন্তু সেনানিবাসের বাহিরে তাদের কোন বিক্রয় কেন্দ্র না থাকায় এসব খাদ্য পণ্য কিনতে চাইলেও তা সম্ভবপর হয়না । সেনাবাহিনীর খাদ্য পণ্য প্রস্তুত হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে এবং কঠোর তত্ত্বাবধানে । সেনাবাহিনীর তৈরী প্রতিটি খাদ্য পণ্য স্বাদে, গুনে, মানে, পুষ্টিতে অসাধারণ । সেনাবাহিনী দ্বারা তৈরী খাদ্য পণ্য ১০০% নির্ভেজাল ও হালাল এবং ১০০% স্বাস্থ্যসম্মত । বয়স্ক মানুষ ও ছোট সোনামনিদের জন্য বিশেষ উপযোগী কারণ সেনাবাহিনী দ্বারা প্রস্তুতকৃত খাদ্য পণ্যে কোন ভেজাল উপাদান বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়না । বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট এর পণ্য আপনার এলাকায় পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
»কেন কিনবেন সেনাবাহিনীর পণ্য?
প্রথমত, যদি সেনাবাহিনীর পণ্য আপনার এলাকায় পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই তা কিনবেন ।
দ্বিতীয়ত, সেনাবাহিনী ব্যবসা করার জন্য খাদ্য পণ্য উৎপাদন করে না বিধায় খাদ্য পণ্যের উৎপাদন স্বাদ, গুন্, মান অটুট থাকে ।
সর্বোপরি সেনাবাহিনীর রয়েছে নিজস্ব ফার্ম, নিজস্ব মিল, নিজস্ব দুধ বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট সেনাবাহিনীর ফার্মে রয়েছে গরু, ছাগল, ভেড়া, মুরগি এবং ফার্মের পশুদের জন্য রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে খাদ্য উৎপাদনের বিশাল পাহাড়ি জমি অর্থাৎ রাসায়নিক মুক্ত সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে এসব পশু পালন করা হয় যা উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাংসের গুনগত মান নিশ্চিত করে । বর্তমান বাজারে ভাল মানের দুধ, ডিম, মাংসের যথেষ্ট অভাব রয়েছে ।
সেনাবাহিনীর নিজস্ব মিলে উৎপাদিত হয় উৎকৃষ্ট মানের আঁটা, ময়দা, সুজি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ভালো মানের কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিজস্ব মিলে, উন্নত প্রযুক্তিতে, গুনগত মান অটুট রেখে কঠোর তত্বাবধানের সহিত ভাল ও উন্নত মানের আঁটা, ময়দা, সুজি উৎপাদন করে যা সেনাবাহিনীর নিজস্ব খাদ্য পণ্যের প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয় এবং যার জন্য সেনাবাহিনীর খাদ্য পণ্য গুলো স্বাদে, গুনে, মানে, পুষ্টিতে অতুলনীয় ।
সেনাবাহিনীর নিজস্ব দুধ বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট এ দুগ্ধ জাতীয় পণ্য সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্তকরণ করা হয় । উন্নত প্রযুক্তির দুই ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করে দুগ্ধ জাতীয় পণ্য বিশুদ্ধিকরণ করা হয় । পদ্ধতিগুলো হল - ০১) আল্ট্রা হিট ট্রিটমেন্ট ও ০২) আল্ট্রা কুলিং ট্রিটমেন্ট । গুগল সার্চ করে জেনে নিতে পারেন কতটা ব্যয়বহুল এই দুইটি প্রক্রিয়া কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠোর তত্ত্বাবধানের সহিত এই দুইটি প্রক্রিয়ায় দুগ্ধ জাতীয় পণ্যের জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করে । অন্য কোন দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কম্পানি এই ভাবে দুগ্ধ জাতীয় পণ্য জীবাণুমুক্ত করেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে আমার । বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা প্রস্তুতকৃত মিষ্টি জাতীয় পণ্যে দুধের ব্যবহার সর্বাধিক । জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ, গুনগত মান সম্পন্ন এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ দুধ দিয়ে তৈরী মিষ্টি পণ্য খেতে খুবই সুস্বাদু এবং ১০০% স্বাস্থ্যসম্মত । একটি লিংক দিলাম ঘুরে আসুন অনেক উপকারী পোস্ট যা আমরা অনেকেই জানিনা ।
http://destyy.com/wfC2Yy
এক কথায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাদ্য পণ্য উৎপাদন করে নিজস্ব উৎপাদন দিয়ে যার জন্য খাদ্য পণ্যের গুনগত মান শতভাগ অটুট থাকে । খাদ্য পণ্যের প্রস্তুতিতে থাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও কঠোর তদারকি কারণ প্রস্তুতকৃত খাদ্য পণ্য সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তাদের পরিবার সহ সেনানিবাসের অভ্যন্তরীণ সকল সেনা সদস্যরা গ্রহণ করেন ।
সেনামিষ্টান্ন দ্বারা সংগৃহীত
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রস্তুতকৃত খাদ্য পণ্যের তালিকা
» মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পণ্য:
০১) কাপ দই, ০২) মিষ্টি খাঁটি দই, ০৩) স্পেশাল ডায়াবেটিস খাঁটি টক দই, ০৪) স্পেশাল বগুড়ার খাঁটি দই, ০৫) স্পঞ্জ মিষ্টি, ০৬) পান্তুয়া স্পেশাল, ০৭) রস মালাই স্পেশাল, ০৮) স্পেশাল মালাই চপ, ০৯) স্পেশাল প্রিমিয়াম সুইট, ১০) স্পেশাল বালুশাহ, ১১) স্পেশাল দুধরাজ, ১২) স্পেশাল কাশ্মীরি চমচম, ১৩) স্পেশাল ইরানি চমচম, ১৪) স্পেশাল সন্দেশ ।
» বেকারি ও ফাস্ট ফুড জাতীয় খাদ্য পণ্য:
০১) স্পেশাল চাঁদ টোস্ট বিস্কুট, ০২) স্পেশাল চৌকোনা টোস্ট বিস্কুট, ০৩) স্পেশাল ঘি বিস্কুট, ০৪) চিনি স্টিক বিস্কুট, ০৫) লিচু বিস্কুট, ০৬) স্পেশাল কিডস বরফি বিস্কুট, ০৭) স্পেশাল কিডস ডিম বিস্কুট, ০৮) আনারকলি বিস্কুট, ০৯) ভ্যানিলা বিস্কুট, ১০) চকলেট বিস্কুট, ১১) বাদাম বিস্কুট, ১২) সল্টেড বিস্কুট, ১৩) স্পেশাল কিডস চমক বিস্কুট, ১৪) জিরা বিস্কুট, ১৫) মাল্টোভা বিস্কুট, ১৬) স্পেশাল ওভালটিন বিস্কুট, ১৭) স্পেশাল অফিসার্স বিস্কুট, ১৮) টপ কেক, ১৯) চৌকোনা কেক হেভি, ২০) প্লেইন কেক, ২১) স্পেশাল ফ্রুট কেক, ২২) স্পেশাল ওভালটিন কেক, ২৩) স্পেশাল ভ্যানিলা কেক, ২৪) স্পেশাল চকলেট কেক, ২৫) স্পেশাল ব্ল্যাক ফরেষ্ট কেক, ২৬) স্পেশাল ড্রাই কেক, ২৭) স্পেশাল হেভি পাউরুটি, ২৮) গোল বন, ২৯) জেলি বন, ৩০) বাটার বন, ৩১) ড্যানিশ, ৩২) মিষ্টি প্যাটিস, ৩৩) ঝাল প্যাটিস, ৩৪) চিকেন প্যাটিস, ৩৫) চিকেন বার্গার, ৩৬) পিৎজা, ৩৭) সিঙ্গারা, ৩৮) বিফ সমুসা, ৩৯) কাঁচা বিফ সমুসা, ৪০) কুয়াশা, ৪১) ক্রিম রোল , ৪২) স্পেশাল লাচ্ছা সেমাই, ৪৩) স্পেশাল ঘি লাচ্ছা সেমাই ।
»দুপুরের ও রাতের খাবার:
স্পেশাল চিকেন বিরিয়ানি
বিরিয়ানি উপাদান: চিনিগুঁড়া চাল, মুরগির মাংস, লেবু, গাজর, শশা, কাঁচা মরিচ । ওয়ান টাইম প্যাকেটে সরবরাহ করা হবে ।
»সেনাবাহিনীর নিজস্ব মিলে উৎপাদিত: আঁটা, ময়দা, সুজি ।
»আমার কিছু কথা:
বাজারে ভাল মানের পণ্যের ঘাটতি আমাদের কে ভেজাল পণ্য গ্রহণে অভ্যস্ত করে ফেলে । মানুষ তার কষ্টার্জিত উপার্জন দিয়ে জেনে/ বুঝে ভেজাল/ মানহীন পণ্য ক্রয় করতে চাইবেন না । তবে সমস্যাটা প্রকট হয়, যখন বাজারে/ দোকানে ভাল মানের পণ্য পাওয়া যায়না তখন মানুষ তার বিচার, বুদ্ধি, বিবেচনা বাদ দিয়ে এক প্রকার জেনে, বুঝে ভেজাল/ মানহীন পণ্য ক্রয়ে বাধ্য হয় ।
বাজারে একই পণ্যের উৎপাদনকারী একাধিক । বিশুদ্ধ এবং ভেজাল দুই ধরণের পণ্য উৎপাদিত হয় । উৎপাদন খরচ কম তথা লাভের পরিমান বেশি বিধায় বাজারে/ দোকানে ভেজাল/ মানহীন পণ্যের সরবরাহ বেশি । একজন ভেজাল/ মানহীন পণ্যের উৎপাদনকারী সহজে তার উৎপাদিত পণ্যের বিস্তার ঘটাতে সক্ষম কারণ তার সরবরাহকৃত পণ্য বিক্রিতে দোকান মালিকের লাভ যেমন বেশি তেমনি ক্রয় মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় ক্রেতাশ্রেণীর আগ্রহ বেশি থাকে । ভেজালের সমারহে একজন নির্ভেজাল পণ্যের উৎপাদনকারীকে তার পণ্যের প্রচার ঘটাতে হিমসিম খেতে হয় কারণ তার উৎপাদিত পণ্যের ক্রয় মূল্য তুলনামূলক বেশি এবং পন্য বিক্রিতে দোকান মালিকের লাভের পরিমান কম । তাই দোকান মালিকের সেই পণ্য বিক্রি এবং প্রচারে অনাগ্রহের অন্ত নেই । বাজারে/ দোকানে নির্ভেজাল পণ্য থাকলেও কৌশলগত কারণে তার প্রচার কম । কিছু ক্রেতাশ্রেণী বাজারে/ দোকানে রেগুলার পণ্য ক্রয়ে অভ্যস্ত অর্থাৎ বাজারে/ দোকানে ভাল পণ্য আছে কিনা জানার আগ্রহ দেখান না । ক্রেতাশ্রেণীর এই ধরনের অনাগ্রহ বাজারে/ দোকানে ভেজাল/ মানহীন পণ্যের পরিধি ব্যাপক করে তুলছে ।
ক্রেতাশ্রেণীর প্রতি অনুরোধ রইল, নিজ প্রয়োজনে সচেতন হউন । বাজারে/ দোকানে "ভাল পণ্য" খুজুন তাহলে বাজারে/ দোকানে ভাল পণ্যের চাহিদা তৈরী হবে । ভাল পণ্যের চাহিদা থাকলে বাজারে/ দোকানে ভাল পণ্য আসার সুযোগ তৈরী হবে এবং আস্তে আস্তে ভেজাল পণ্যের সরবরাহ কমে যাবে কারণ ক্রেতার চাহিদার উপর দোকান মালিকের ব্যবসা নির্ভরশীল । এককথায় ক্রেতাশ্রেণীর সচেতনতা ই পারে ভাল পণ্যের প্রসার ঘটাতে এবং ভেজাল/ মানহীন পণ্যের পরিধি কমাতে ।
আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, সেনাবাহিনীর তৈরী ১০০ ভাগ মানসম্মত, খাঁটি, ভেজালমুক্ত ও হালাল পণ্য সরবরাহ করা যা সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর । সেনাবাহিনীর তৈরী সব ধরণের পণ্য ছোট সোনামনি ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ উপযোগী এবং পুষ্টিকর । ক্রেতাশ্রেণীর সচেতনতা, সহযোগিতা, আন্তরিকতা, চাহিদা আমাকে সেনাবহিনীর তৈরী পণ্য সরবরাহে অনুপ্রাণিত করবে ।
ধন্যবাদ ।
No comments